মনজুর মোর্শেদ তুহিন (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি। মৌসুমি বায়ু ও বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে টানা বৃষ্টিতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মতো পটুয়াখালী শহরেও দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। বিশেষ করে শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন বাসিন্দারা। চরম ভোগান্তিতে দিন কাটাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
বিশেষভাবে সংকট দেখা দিয়েছে শহরের ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রুস্তম মৃধা কালভার্ট ঘিরে। এই কালভার্টের দুই পাশ দিয়েই ৪, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ড্রেনের পানি সরাসরি নদীতে গিয়ে পড়ে। অথচ বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই এ গুরুত্বপূর্ণ কালভার্টে পৌরসভার তত্ত্বাবধানে শুরু হয়েছে সংস্কারকাজ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সময় বিবেচনা না করে সম্পূর্ণ অপরিকল্পিতভাবে এ সংস্কারকাজ শুরু করায় কালভার্টের দুই প্রান্তই বন্ধ হয়ে পড়েছে। ফলে ড্রেনের পানি বের হতে না পারায় শহরের বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। জলাবদ্ধতার কারণে শহরের বহু ঘরবাড়ি, দোকানপাট ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি উঠে গেছে। জনজীবন হয়ে পড়েছে বিপর্যস্ত।
পটুয়াখালী ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নাহিয়ান বলেন, “উন্নয়নের নামে বর্ষাকালে এমন কাজ শুরু করা একেবারেই দায়িত্বজ্ঞানহীন সিদ্ধান্ত। এখন আমরা প্রতিদিন জলাবদ্ধতা আর দুর্ভোগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছি। এর স্থায়ী সমাধান জরুরি।”
৫ নম্বর ওয়ার্ডের ভুক্তভোগী হাবিবা বেগম বলেন, সারা বছরই শহরে ড্রেনের কাজ চলে, তারপরও বর্ষাকালে ভয়ে থাকি। দীর্ঘ ২০ বছর ধরে প্রতিবছর আমাদের ঘর আর উঠান পানিতে ডুবে যায়। কবে যে এই দুর্দশা থেকে মুক্তি পাব, জানি না।”
এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্থানীয় প্রশাসন ও পৌরসভার অবহেলা এবং দূরদর্শিতার অভাবেই এ ধরনের পরিস্থিতি বারবার সৃষ্টি হচ্ছে। তারা বলেন, পরিকল্পনাহীন উন্নয়নের বদলে সময়োপযোগী ও জনস্বার্থভিত্তিক প্রকল্প বাস্তবায়ন করলেই এ দুর্ভোগ কমবে।